করোনায় মৃত তৃণমূল বিধায়কের স্ত্রীকে চাকরীর নিয়োগপত্র দিলেন মুখ‍্যমন্ত্রী

13th November 2020 2:43 pm বাঁকুড়া
করোনায় মৃত তৃণমূল বিধায়কের স্ত্রীকে চাকরীর নিয়োগপত্র দিলেন মুখ‍্যমন্ত্রী


দেবব্রত মন্ডল ও তৌসিফ আহমেদ ( বাঁকুড়া ) :   কথা রাখলেন 'দিদি' । করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত দলের বিধায়ক গুরুপদ মেটের স্ত্রী রুনু মেটেকে চাকরীর নিয়োগপত্র দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিনিধি হিসেবে মন্ত্রী শ্যামল সাঁতরা প্রয়াত বিধায়কের বাড়িতে গিয়ে তাঁর স্ত্রী রুনু মেটের হাতে ভূমি ও ভূমি সংস্কারের দপ্তরের নিয়োগপত্র তুলে দেন ।

প্রসঙ্গত, গত ১ অক্টোবর বাঁকুড়ার ইন্দাসের তৃণমূল বিধায়ক কোভিড আক্রান্ত হয়ে হাওড়ার একটি বেসরকারী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় প্রয়াত হন । সেদিনই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শোক বার্তা জানানোর পাশাপাশি শোকসন্তপ্ত বিধায়কের পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দেন ।

প্রয়াত বিধায়কের স্ত্রী রুনু মেটে বলেন, দিদি ফোনে খবর নিয়েছেন । অসহায় অবস্থা থেকে মুক্তি দিতে দিদি চাকরীর ব্যবস্থা করেছেন । এই প্রাপ্তিতে তার ভালো লাগছে বলে তিনি ।

মন্ত্রী শ্যামল সাঁতরা বলেন, বিধায়ক গুরুপদ মেটের মৃত্যুর পর থেকেই আমরা তার পরিবারের পাশে আছি । মন্ত্রীসভার মিটিং শেষে দিদি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিয়োগপত্র আমার হাতে দেন । তিনি সেই নিয়োগপত্র বিধায়কের স্ত্রীর হাতে তুলে দেন বলে জানান ।

 





Others News

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : তোপধ্বনি তে কেঁপে উঠল বিষ্ণুপুর । শুরু হল মল্ল রাজাদের ১০২৫ বছরের অষ্টমী পূজোর সন্ধিক্ষণ।

প্রাচীণ ঐতিহ্য ও পরম্পরা মেনে আজও নিষ্ঠাভরে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে দেবী দুর্গা 'মৃন্ময়ী নামে পূজিতা হন। জানা গিয়েছে, পূর্ব প্রথা মতোই প্রাচীণ রীতি মেনে মহাষ্টমীর সন্ধিক্ষণে কামান দাগার মধ্য দিয়ে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে শুরু হয়ে গেল 'বড় ঠাকরুনে'র পুজো। তবে এবার করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও দর্শক সাধারণের উপস্থিতি ছিল বাঁধভাঙ্গা। সরকারী নিয়মকে মান্যতা দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হয়েছে দেবী বন্দনা। এমনকি এখানে কামান দাগার পর্বেও অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরে অল্প সংখ্যক লোককে নিয়ে ঐ কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে।

শুরুর সময় থেকে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ ঘোষণা করা হয় বড় কামানের গর্জনের শব্দে। যার আওয়াজে রাজবাড়িতে আরতি নৃত্যও শুরু হয়ে যায়।